স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করে চলেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন
করোনাভাইরাসের কবল থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত সারাবিশ্ব। বাংলাদেশেও এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনার প্রকোপ। ফলে সমাজের নানা স্তরের মানুষজন চিকিৎসা সেবা খাদ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে এগিয়ে আসছেন। অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন এমনই একজন। এর আগে ঢাকার দরিদ্র অসহায় মানুষের জন্য প্রায় দুই মাস ত্রাণসামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করে প্রশংসিত হন। এবার ক্লাবের সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্রতী হয়েছেন তিনি।
মূলত মেজবাহ উদ্দিনের একক প্রচেষ্টায় অফিসার্স ক্লাব ঢাকার সদস্য ও তাদের পরিবারের জন্য করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের বুথ বসেছে অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহায়তায় প্রতিদিন এখান থেকে ৩০ জনের স্যাম্পল পরীক্ষা করানো হচ্ছে। আর ফলাফল মিলছে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই। শুধু তাই নয় ক্লাব সদস্য ও তাদের পরিবারের স্বাস্থ্য পরামর্শে ৬১ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কাজ করছেন। সদস্যরা এই ডাক্তারদের কাছ থেকে সহজেই টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করতে পারছেন।
এসব উদ্যোগ প্রসঙ্গে মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘ক্লাবের সদস্যরা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। কোভিড ১৯ মহাদুর্যোগের সময় সদস্য ও তাদের পরিবারের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমার একান্ত দায়িত্ব। করোনাকালের শুরু খেকেই আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি মানুষের পাশে থাকার। এই উদ্যোগগুলো আসলে সেই চেষ্টারই অংশবিশেষ।’
বিসিএস ১১ ব্যাচের এই কর্মকর্তা এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাবেক পিএস, খুলনার জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম এর জেলা প্রশাসক হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শ্রেষ্ঠ ডিসি হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে পুরস্কৃত হন মেজবাহ উদ্দিন। তার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সততা ও নিষ্ঠার জন্য প্রশংসিত হয়ে আসছেন। কর্মক্ষেত্রে সততা এবং দক্ষতার জন্য একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে পেয়েছেন নানা স্বীকৃতি।