আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হলেন বিএটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান
![আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হলেন বিএটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান](https://bdfinancialnews24.com/uploads/2022/12/235041.png)
পরিবেশ সংরক্ষণে অসামান্য অবদানের জন্য বালিপাড়া ফাউন্ডেশন কর্তৃক বিএটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান গোলাম মইন উদ্দীনকে ‘বাংলাদেশ লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড (বাংলাদেশ আজীবন সম্মাননা পুরস্কার) প্রদান করা হয়েছে।
সম্প্রতি রাজধানীর ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) প্রধান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ১০তম বালিপাড়া ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ডস ২০২২ এ জনাব গোলাম মইন উদ্দীন এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। ১১ ডিসেম্বর থেকে ঢাকায় শুরু হওয়া ১০তম ইস্টার্ন হিমালয়ান ন্যাচারনমিক্স ফোরাম এর অংশ হিসেবে এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি; ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর পরমাণু ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত জনাব শ্যাম শরণ এবং ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য জনাব রাম মাধব।
জনাব গোলাম মইন উদ্দীন আন্তরিকতা ও একাগ্রতার সাথে ২০০৮ সালের আগস্ট থেকে বিএটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে তিনি প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয় ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর অনন্য নেতৃত্ব প্রদানের ধারাবাহিকতায় দেশজুড়ে জমিতে গাছের সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি ১৯৮০ সালে বনায়ন কার্যক্রমের সূচনায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন। জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলাসহ স্থানীয় সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বৃক্ষরোপন প্রকল্পের শুরু থেকেই তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন। এ প্রকল্পের ৪২তম বছরেও তিনি একই উদ্দীপনায় কাজ করে চলেছেন। তাঁর নেতৃত্বে শুরু হওয়া এ কার্যক্রমের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত দেশজুড়ে ২২টি জেলার বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের বিনামূল্যে ১২ কোটি ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। এ ধরনের একটি ফলপ্রসূ প্রকল্পের মাধ্যমে বৈশ্বিক সঙ্কট মোকাবিলায় তাঁর দূরদর্শী পদক্ষেপের স্বীকৃতিস্বরূপ এবং এ সংক্রান্ত কাজে তাঁর সারাজীবনের প্রতিশ্রুতির জন্য জনাব গোলাম মইন উদ্দীনকে বাংলাদেশ আজীবন সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
এক বিবৃতিতে জনাব মইন উদ্দীন বলেন, “আজীবন সম্মাননা গ্রহণ করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমরা যখন বৃক্ষরোপণ প্রকল্পটি শুরু করি, তখন আমাদের অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম ছিলো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিভিন্ন কার্যক্রম ও বৃক্ষরোপণ নিয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতার অভাব। পরিবেশ সংরক্ষণ ও জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের জন্য অর্থপূর্ণ কিছু করার প্রয়াসে আমরা সেই প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে কাজ করেছি। এ সম্মাননা পরিবেশ রক্ষা ও এক সবুজ আগামী নির্মাণে আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টাগুলোকে এগিয়ে নিতে অনুপ্রাণিত করবে।”
বালিপাড়া ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রবর্তিত বাংলাদেশ লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়। এ পর্যন্ত এ ফাউন্ডেশন কর্তৃক ১২১ জন ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। বালিপাড়া ফাউন্ডেশন বিভিন্ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টির জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে, যা প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা এবং পূর্ব হিমালয়ের অপরূপ সৌন্দর্যের পূর্ণ গৌরব ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।