২৩৬ ব্রোকারেজ হাউসের হালনাগাদ তথ্য চেয়েছে বিএসইসি

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ২৩৬টি ব্রোকারেজ হাউসের হালনাগাদ তথ্য খতিয়ে দেখবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃপক্ষ। অভিয়োগ রয়েছে বেশিরভাগ হাউস যথাযথ দায়িত্ব পালন করছে না। ওই অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করতে হাউসগুলোর ভূমিকা যাচাই করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

জানা গেছে, ডিএসইর সদস্যভুক্ত ২৩৬টি ট্রেকহোল্ডারের বিগত তিন বছরের কার্মকাণ্ডের তথ্য চাওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে বিএসইসি। ওই চিঠি পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে এ-সংক্রান্ত তথ্য কমিশনে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, যেসব হাউস কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে কাজ করছে না, তাদের হালনাগাদ তথ্য দেখা হবে। তাই ট্রেকহোল্ডার কী কাজ করছে তা জানতে বিগত তিন বছরের কর্মকাণ্ডের তথ্য চাওয়া হয়েছে। বিশেষ করে গত তিন বছরে সংশ্লিষ্ট ট্রেকহোল্ডার কী পরিমাণ শেয়ার কেনা-বেচা করেছে, এভারেজ ট্রেড ভলিউমের পরিমাণ কতসহ নানা ফান্ডামেন্টাল ইনফরমেশন যাচাই করবে কমিশন। এছাড়া ডিএসইতে নতুন ট্রেকের জন্য অনেক প্রতিষ্ঠানের আবেদন পড়েছে। তাই নতুনদের ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট বা ট্রেক সার্টিফিকেট দেয়ার আগে পুরোনোগুলোর কার্যক্রমের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপর নতুন ট্রেকহোল্ডার অনুমোদন দেয়া হবে।

এ বিষয়ে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা ডিএসইর কাছে ২৩৬টি ট্রেকহোল্ডারের কার্যক্রমের সার্বিক অবস্থা জানতে চেয়েছি। কমিশন দেখতে চায়, ট্রেকহোল্ডাররা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে কি না।’

ডিএসইতে সদস্যভুক্ত মোট ট্রেকহোল্ডারদের সংখ্যা ২৫০টি। এর মধ্যে চারটি ট্রেকহোল্ডার শুরু থেকে নিষ্ক্রিয়। আর ১০টি ট্রেকহোল্ডার পুঁজিবাজারে লেনদেন করে না। বাকি ২৩৬টি ট্রেকহোল্ডারদের মধ্যে পুঁজিবাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ২০টি। এছাড়া বাকি ২১৬টি ট্রেকেহোল্ডারদের মধ্যে অনেকে যাথাযথ দায়িত্ব পরিপালন করছে না।

এদিকে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মো. আবদুল মতিন পাটোয়ারী বলেন, ‘২৩৬টি ট্রেকহোল্ডারের বিগত তিন বছরের কার্মকাণ্ডের তথ্য চাওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।’