আনোয়ারায় নিখোঁজের ৩০ ঘন্টা পর রেখে গেলো বাড়ির আঙ্গিনায়
এম.এম.জাহিদ হাসান হৃদয় (আনোয়ারা,চট্টগ্রাম):
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় নিখোঁজের ৩০ ঘন্টা পর শনিবার রাত ৩ টার দিকে অজ্ঞান অবস্থায় রাজমিস্ত্রী ফারুককে বাড়ির সামনে কে বা কারা ফেলে রেখে চলে যায়। নিখোঁজ ফারুক আনোয়ারা উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মোল্লা পাড়া বুধা মিয়া সওদাগর বাড়ির এজহার মিয়ার পুত্র। থানা সূত্রে জানা যায়, রাজমিস্ত্রীর কাজ শেষ করে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজ গ্রাম বটতলী বাজারে ফিরে এসেছিলেন মোহাম্মদ ফারুক (৩৫)। বাজারে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোন করে তাকে ডেকে নিয়ে যাই। গভীর রাত হলেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন বারবার কল দিলে ফারুকের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোন সন্ধান না পাওয়ায় শুক্রবার আনোয়ারা থানায় একটি নিখোঁজের ডায়রি দায়ের করেন ফারুকের স্ত্রী। নিখোঁজ ফারুকের স্ত্রী মুন্নি বেগম জানান, গত বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) হাসিমুখে বাসা থেকে জুঁইদন্ডী গ্রামে এক আত্মীয়ের বাসায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে যান আমার স্বামি। সন্ধ্যায় কর্মস্থল থেকে বটতলী বাজারে ফিরে এসে কেনাকেটা করতে দেখেন এলাকার লোকজন। বাজার থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোন করে আমার স্বামিকে ডেকে নিয়ে যাই। তখন থেকে আর বাসায় ফিরে আসেনি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখোঁজির পর আমার স্বামিকে না পেয়ে শুক্রবার (১২ মার্চ) থানায় নিখোঁজের ডায়েরি দায়ের করি। শনিবার রাত ৩টায় ঘরের সামনে অজ্ঞান অবস্হায় কে বা কারা আমার স্বামিকে ফেলে রেখে চলে যায়। ঘরের সামনে আওয়াজ শুনতে পেয়ে দরজা খুলে আমার স্বামিকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করি। আমার স্বামির কাছে থাকা মোবাইল ও ব্যাগ পাওয়া যায়নি কিন্তু কাপড়ে লুকানো টাকা পাওয়া গেছে। পরে ভোরে আমার স্বামিকে আনোয়ারা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে রেফার করেন।সেখানে সকাল ১০টায় জ্ঞান ফিরে। জ্ঞান ফিরলেও শারীরিক ও মানসিক সমস্যার কারণে ঘুমের মধ্যে রয়েছেন। মানসিক সমস্যাগ্রস্থ থাকায় আমার স্বামির কাছ থেকে কিছু জানতে পারিনি। নিখোঁজ ফারুকের ভাইয়ের ছেলে রাশেদ জানান, আমার চাচার সাথে পারিবারিক ও কর্মস্থলে কারো সাথে রেশারেশি ছিলনা। কিছুদিন পূর্বে বিদেশ থেকে ফিরে দেশে রাজমিস্ত্রী কাজ করছেন। কে বা কারা এমন অমানবিক ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমরা জানিনা। আনোয়ারা থানায় আমরা নিখোঁজ ডায়রি করেছি। আশা করি এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন হবে। আনোয়ারা থানার এএসআই নয়ন জানান, নিখোঁজ ফারুকের স্ত্রী গত শুক্রবার থানায় একটি নিখোঁজের ডায়েরি করেন। ওইদিন সন্ধ্যায় আমরা তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলাম। শনিবার রাত ৩ টায় তার বাসার সামনে থেকে তাকে পাওয়া যায় বলে তার পরিবার থেকে জানানো হয়। সে কি কারনে নিখোঁজ হয়েছে তা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।