মেয়র রেজাউল ও সিডিএ চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ এর সৌজন্য সাক্ষাত : চসিকের সঙ্গে সিডিএর সমন্বয় অপরিহার্য
চট্টগ্রাম: নগরবাসীর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন জরুরি ভিত্তিতে নালা-নর্দমা-খাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নে কাজ শুরু করেছে। অপরদিকে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকেও একই কাজ করতে হচ্ছে। এতে অর্থ অপচয়ের পাশাপাশি দেখা দিচ্ছে ওভারলেপিং। এখানেও সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সিডিএর সমন্বয় অপরিহার্য।
রোববার (১৪ মার্চ) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে টাইগারপাসে চসিকের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে সিডিএ চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশন ও সিডিএ দুই প্রতিষ্ঠানের কাজের সমন্বয় অতীব জরুরি। নগরে দালিলিকভাবে ৫৭টি খাল ছিল। সিডিএর উদ্যোগে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৬টি খালের পুনরুদ্ধারে কাজ চলছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত তারা চাইলে চসিক তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। চসিকের জনবল ও সরঞ্জাম রয়েছে যা সিডিএর নেই কিন্তু সিটি করপোরেশনের আর্থিক সক্ষমতা ততটুকু নেই।
তিনি বলেন, ১০০ দিনের অগ্রাধিকার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চসিক যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে তা চলমান রয়েছে।
রেজাউল করিম বলেন, সিডিএ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে খাল-নালায় যে বাঁধ দিতে হয়েছে ওইসব স্থানে বিকল্পভাবে দ্রুত পানি চলাচলের ব্যবস্থা বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই করতে হবে। তা না হলে আবারও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে।
মেয়রের এসব কথার প্রেক্ষিতে সিডিএ চেয়্যারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, চসিক ও সিডিএ উভয় প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই। নগরের ৩৬টি খাল পুনরুদ্ধারে সিডিএ কাজ করছে। এর মধ্যে ২২টি পয়েন্ট চিহ্নিত করে প্রকল্পকাজ চলমান রয়েছে। আগামী জুনের আগে সিডিএ খালগুলোর পানি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করবে।
তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবীদের সম্পৃক্ততার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
সিডিএ চেয়ারম্যান উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীদের নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন। এ ছাড়াও চসিক ও সিডিএর মধ্যে আগামীতে সব কাজ সমন্বয়ের মাধ্যমে সম্পাদনের ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহাম্মেদ, ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক প্রমুখ।
সিডিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন সামস, প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ শাহ আলী, অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজের, নগর পরিকল্পনাবিদ আব্দুলাহ আল ওমর, এস্টেট অফিসার কামরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।