শিরোনাম

South east bank ad

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গুলশান পার্কে প্রদর্শনী

 প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   সিটি করপোরেশন

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গুলশান পার্কে প্রদর্শনী

ঢাকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে সাত দিনব্যাপী প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রাজধানীর গুলশান ২ নম্বরের বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব; কারো সাথেই বৈরিতা নয়’ শিরোনামের প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. এ কে আব্দুল মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে এই বছরটিতে আমরা আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করতে পারছি। সে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীও একই সময়ে। আমাদের জন্য আরও একটি সুসংবাদ যে, এই বছরই আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার সব শর্ত পূরণ করতে পেরেছি। তবে ২৫ মার্চের কালো রাতের ইতিহাস বাঙালি জাতির ইতিহাসের জন্য একটি কালো অধ্যায়। এই এক রাতেই নিরস্ত্র ১০ হাজার বাঙালিকে হত্যা করা হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ ও ২৬ মার্চ মিলিয়ে দুই দিনে মোট ৪৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়। নিরস্ত্র মানুষ হত্যা করে তারা গণহত্যার মতো অপরাধ করে। তখনই বঙ্গবন্ধু দৃঢ প্রত্যয় নেন এই দেশ স্বাধীন করার।

শেখ মুজিবুর রহমানের সবার প্রতি বন্ধুত্বসুলভ আচরণের প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, তিনি আসলেই আমাদের জাতির পিতা। তার ৭ মার্চের ভাষণ আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তার নীতি ছিল সবার প্রতি বন্ধুত্ব; কারও প্রতি বৈরিতা নয়। তিনি নিজেও ব্যক্তি জীবনে এই নীতি মেনে চলতেন। শত্রু পাকিস্তানের প্রতিও তিনি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তার এই নীতির কারণে স্বাধীন হওয়ার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বেশিরভাগ দেশের স্বীকৃতি পায় বাংলাদেশ। সেসময়ের ১৩৬টি দেশের মধ্যে ১২৬টি দেশের স্বীকৃতিই পাওয়া যায়। বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘ শান্তি মিশনের ব্র্যান্ড।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মুজিবের আদর্শ কন্যা আখ্যায়িত করে মোমেন বলেন, তিনিও তার বাবার মতো হয়েছেন। রোহিঙ্গা সংকটের সময় তিনি সীমান্ত খুলে দিয়ে পুরো বিশ্বকে দেখিয়েছেন যে, মানবতার চেয়ে বড় কিছু নেই। শান্তি প্রতিষ্ঠার এমন নিদর্শন বঙ্গবন্ধুর কন্যা বলেই সম্ভব।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ২৫ মার্চ বাঙালি ইতিহাসের কালো দিন। তবে সবকিছুকে অতীত করে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছে। আজকের এই উন্নয়নের মূল ভীত রচনা করে দিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাকে যেন এদেশের মানুষ আরও বেশি করে জানতে পারেন এজন্য আমরা এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি। বঙ্গবন্ধুর যে নীতি- সবার প্রতি বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, এটি যদি সবাই মেনে চলে তাহলে আমাদের দেশ আরও এগিয়ে যাবে।

এসময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় কোন অসংগতি নজরে এলে 'সবার ঢাকা' অ্যাপস ব্যবহার করে অভিযোগ জানাতে উপস্থিত রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহবান জানান ডিএনসিসি মেয়র। এমন অভিযোগ এলে দ্রুত সেগুলোর সমাধান করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান, ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিন ও ঢাকায় নিযুক্ত ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রদূত জর্জ কোচেরি, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলারসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা বক্তব্য রাখেন।

BBS cable ad

সিটি করপোরেশন এর আরও খবর: