সকলকে নিয়ে সুস্থ, সচল ও অত্যাধুনিক ঢাকা গড়তে চাইঃ মেয়র আতিকুল ইসলাম
গুলশানের নগর ভবনে সাংবাদিকদের সাথে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্বভার গ্রহণের বর্ষপূর্তি এবং ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, তিনি সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় সুস্থ, সচল ও অত্যাধুনিক ঢাকা গড়ে তুলতে চান।
মোঃ আতিকুল ইসলাম শুরুতেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তিনি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ায় বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য সিটি কর্পোরেশনবাসীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ডিএনসিসি মেয়র তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অদ্যাবধি জনস্বার্থে গৃহীত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের বিস্তারিত বিবরণ দেন।
এসময় মোঃ আতিকুল ইসলাম চলমান করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে কর্মহীন, দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মধ্যে মানবিক সহায়তা প্রদান, জনগণের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ, মহাখালীতে দেশের সর্ববৃহৎ "ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল" নির্মাণ এবং হাসপাতালটিতে ২টি এ্যাম্বুলেন্স ও ১টি লাশবাহী ফ্রিজার ভ্যান হস্তান্তরের বিষয়টি উপস্থাপন করেন।
তিনি ডিএনসিসি এলাকায় একাধিক পার্ক, খেলার মাঠ, সাইকেল লেন, পাবলিক টয়লেট, ড্রেন, ফুটপাত, রাস্তা, ফ্লাইওভার, এস্কেলেটরযুক্ত ফুটওভারব্রীজ, পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য বহুতলবিশিষ্ট আবাসিক ভবন ইত্যাদি নির্মাণের কথা উল্লেখ করেন।
ডিএনসিসি মেয়র ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এলইডি সড়কবাতি স্থাপন, অত্যাধুনিক রোড সুইপারের ব্যবহার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন নির্মাণসহ পাইপলাইন স্থাপন এবং বিভিন্ন খাল উদ্ধারপূর্বক সেগুলো পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া মোকাবেলায় বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রম সম্পর্কেও আলোকপাত করেন।
নগরবাসীর জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে "সবার ঢাকা অ্যাপস" চালুর বিষয়টি উল্লেখ করে মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, সিটি কর্পোরেশনগুলোর মধ্যে দেশে প্রথমবারের মতো ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনেই পেনশন সিস্টেম চালু করা হচ্ছে।
এছাড়াও তিনি বর্ধিত মহানগরীর ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক, অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ ও উন্নয়নে গৃহীত ও একনেকে অনুমোদিত প্রায় ৪ হাজার ২৬ কোটি টাকার প্রকল্পের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন।
ডিএনসিসি মেয়র বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার রাজধানী ঢাকাকে সবার বাসযোগ্য সুস্থ, সচল ও অত্যাধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।