চিংড়ির উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিদেশে আমাদের চিংড়ির চাহিদা রয়েছে। সনাতন পদ্ধতির কারনে দেশে চিংড়ির উৎপাদন কম হচ্ছে। উৎপাদন না বাড়ালে রফতানি বাড়বে না। এজন্য প্রয়োজনে প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে চিংড়ির উৎপাদন বাড়াতে হবে।
সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।
সাহেলউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) ও বাংলাদেশ ইকনোমিক জোনস অথরিটিকে (বেজা)ঢেলে সাজিয়েছে। দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ এখন চমৎকার। এ সময় তিনি বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী বেলায়েত হোসেন বলেন, এক দশকের বেশি সময় ধরে কাঁচামালের অভাবে উৎপাদন ক্ষমতার পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারছে না প্রক্রিয়াজাতকারী কারখানাগুলো। তাতে রফতানির পরিমাণ দিন দিন কমছে। করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের চিংড়ি ও মাছের চাহিদা এবং মূল্য দুটিই কমেছে। আবার দেশের বাজারে দাম বেড়েছে,ফলে রফতানি কমছে।
এ সময় পাটের ন্যায় চিংড়িকেও কৃষি পন্য ঘোষণা, খুলনা ও চট্টগ্রামে চিংড়ি শিল্পের জন্য আলাদা ইকনোমিক জোন স্থাপন, চিংড়ি রফতানিতে ব্যাংকের আলাদা সুদ হার নির্ধারণ ও নগদ সহায়তার বকেয়া পরিশোধে দাবী জানান সংগঠনের নেতারা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খান, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফ হোসেন মাসুদ ও সদস্য শ্যামল দাস প্রমুখ।