পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে বুকিং দিলে মালয়েশিয়া-ব্যাংকক
রিহ্যাব মেলায় ইউএস-বাংলা এসেটস্ লিমিটেডের পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে প্লট বুকিং দিলেই সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ব্যাংকক ভ্রমণের সুযোগ পাবেন ক্রেতারা। এ অফার চলবে মেলা চলাকালীন আগামী ২৫ ডিসেম্বর (সোমবার) পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে রিহ্যাব মেলা। মেলা ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন স্টলে বিভিন্ন কোম্পানি অফার দিচ্ছে। এর মধ্যে ইউএস-বাংলা এসেটস্ তাদের অফারটি দিয়ে ক্রেতা আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মোফাজ্জল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের অফারে বেশ সাড়া পাচ্ছি। সকালে মেলা উদ্বোধন হয়েছে। দুপুর থেকে দর্শনার্থী ও ক্রেতারা আসছেন। এর মধ্যেই বেশ কয়েকটি প্লট বুকিং হয়েছে। আগামী চারদিনে আরও বুকিং হবে বলে আশা করছি।
মেলায় আর কী কী অফার দিচ্ছেন জানতে চাইলে মোফাজ্জল হোসেন বলেন, পাঁচ কাঠার একটি প্লট বুকিং দিলে আমাদের নিজস্ব এয়ারলাইন্সে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ব্যাংকক ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এই অফারে রিটার্ন টিকিটসহ তিনদিন দুই রাত থাকার সুযোগ রয়েছে।
এছাড়া পাঁচ কাঠার প্লট এককালীন মূল্যে ক্রয় করলে ক্রেতাকে ২৫ শতাংশ মূল্য ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ৫০ লাখ টাকার প্লট মেলায় এসে বুকিং দিলেই পাচ্ছেন ৩৭ লাখে। যেসব প্লট বুকিং নেওয়া হচ্ছে এগুলো সব এখনই বাড়ি করার উপযোগী। বাউন্ডারি দেয়াল করা। আবাসিক, কমার্শিয়াল, হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি, শপিং কমপ্লেক্স, কনভেনশন সেন্টার, ব্যাংক ও করপোরেট অফিসের জন্য প্লট বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
কিস্তিতেও প্লট কেনার সুযোগ রয়েছে পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে। কাঠা প্রতি মাসিক কিস্তি ৭ হাজার ৪১৬ টাকায় ১০০টি কিস্তিতে প্লট কেনার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা।
বর্তমানে এ, বি, সি, ডি ও ই ব্লকের প্লট হস্তান্তর চলছে বলেও জানান মোফাজ্জাল হোসেন। তিনি বলেন, প্রকল্পটি রাজউকের পূর্বাচল উপশহরের কাছে। ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের পথ। অপরদিক বারিধারা আমেরিকান দূতাবাস থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরত্বে।
এই প্রকল্পে যারা প্লট কিনবেন তারা বাড়তিসুবিধা হিসেবে পাচ্ছেন প্রকল্পের মধ্যে গ্রিন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস, ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, কনভেনশন সেন্টার, শপিং কমপ্লেক্স, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স হেড কোয়ার্টার, একাধিক মসজিদ, মন্দির, গির্জা, বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ও কলেজ, কাঁচাবাজার, ব্যাংক বিমা, কমিউনিটি সেন্টার। বিনোদনের জন্য খেলার মাঠ, পার্ক, ক্লাব, জিমনেসিয়াম, কনভেনশন সেন্টার ও লেক। এছাড়া ফিলিং স্টেশন, কমন পার্কিং, রেস্টুরেন্ট, হোটেল, ট্রেড সেন্টার, ঈদগাহ ও কবরস্থান।
অবকাঠামোগত সুবিধার মধ্যে আছে পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, টেলিফোন, পোস্ট অফিস, পয়ঃনিষ্কাশন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ স্টেশন/ফাঁড়িসহ প্রয়োজনীয় চাহিদাসমূহ কোম্পানি এবং সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী পূরণ করা হবে।
রাজউক অফিসসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ অফিস সরে আসবে পূর্বাচলে। অর্থাৎ পূর্বাচল হবে আগামী দিনের রাজধানী। বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৪২ তলা টাওয়ার হবে পূর্বাচলে। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যাপীঠ প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস হবে পূর্বাচলে। বিদেশি দূতাবাস, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক অফিস স্থানান্তরিত হচ্ছে পূর্বাচলে। পূর্বাচল হবে যানজটমুক্ত আধুনিক নগরী। কারণ এটি পরিকল্পিত ও বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রশস্ত রাস্তা (১৮০-৩০০ ফিট) এবং দেশের বৃহত্তম ফ্লাইওভার হবে এখানে। পূর্বাচল হবে বায়ু ও শব্দ দূষণমুক্ত মনোরম পরিবেশের একটি আদর্শ শহর। আর এই আধুনিক শহরটির সব সুযোগ সুবিধাই ভোগ করবেন অতি কাছে পূর্বাচল আমিরকান সিটির বাসিন্দারা।।