স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার পর কীটনাশক পানে স্বামীর আত্মহত্যা চেষ্টা
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে স্ত্রী ও কন্যাকে শ্বাস রোধ করে হত্যার ঘটনায় মোহন্দ্র চন্দ্র দাসকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার গভীর রাতে মামলাটি করেছেন নিহত ফুলবাসী রানী দাসের বোন বিশাখাবাসী রানী দাস।
পুলিশ বলছে, রাতে স্ত্রী ফুলবাসী রানী দাস (৩৪) ও তাঁর ১১ বছরের মেয়ে সুমী রানী দাসের মুখে কীটনাশক ঢেলে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মোহন্দ্র চন্দ্র দাস। দিনমজুর মোহন্দ্র চন্দ্র দাসও কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মহামারির মধ্যে আর্থিক সংকটে পড়ায় তিনি পরিবারের সবাইকে হত্যা ও আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন বলে সন্দেহ পুলিশের। মোহন্দ্রকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অসুস্থতার কারণে তাঁকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত শুক্রবার গভীর রাতে কামরাঙ্গীরচরের নয়াগাঁও এলাকার একটি বাসায় ঘুমের মধ্যে ফুলবাসী ও তাঁর মেয়ে সুমী রানী দাসের মুখে কীটনাশক ঢেলে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন মোহন্দ্র চন্দ্র দাস। ঘটনার সময় ফুলবাসীর আরেক মেয়ে জুমা রানী দাস (১৪) ঘুমাচ্ছিল। হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর সে দেখতে পায়, তার বাবা সুমীর মুখে পলিথিন চেপে ধরেছেন। গতকাল শনিবার সকালে ওই বাসা থেকে ফুলবাসী ও তাঁর মেয়ে সুমীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে খুনের কারণ সম্পর্কে এজাহারে বিস্তারিত উল্লেখ নেই।
পুলিশ জানায়, গতকাল সকালে ৯৯৯-এ খবর পেয়ে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়। বাসায় গিয়ে দেখা যায়, মোহন্দ্র নির্বাক হয়ে বসে ছিলেন। তাঁর বড় মেয়ে জুমা কাঁদছিল।
সে পুলিশকে জানিয়েছে, রাতের খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। মা ও দুই মেয়ে খাটে ঘুমিয়েছিল। মেঝেতে ঘুমিয়েছিলেন মোহন্দ্র। মধ্যরাতে মোহন্দ্র খাটে ফুলবাসী ও সুমীর মাঝখানে গিয়ে ঘুমান। গভীর রাতে সুমীর পা লেগে জুমার ঘুম ভেঙে যায়। জুমা দেখে, তার বাবা পলিথিন দিয়ে সুমীর মুখ আটকে রেখেছেন। জুমা ঘরের লাইট জ্বালাতে গেলে মোহন্দ্র তাকে নিষেধ করেন। কিন্তু সে উঠে লাইট জ্বালায়। দেখে, বিছানায় তার মা ও বোনের নিথর দেহ পড়ে আছে। তখন সে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে যান। প্রতিবেশীরাই ৯৯৯-এ কল করেন।