কক্সবাজারের ৫ উপজেলায় ২১শ মেট্রিক টন লবণের ক্ষতি
মৌসুমের শেষের দিকে বিক্রয়ের জন্য কিছু লবণ সাময়িকভাবে মাটির উপরে মজুদ থাকে। ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে ওই লবণের কিছু অংশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হলেও দেশে লবণের ঘাটতি হবে না।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এবং পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় পাঁচ উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে প্রায় ২ হাজার ১০০ মেট্রিক.টন লবণের অর্থাৎ প্রায় ৮৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কক্সবাজার সদরের চৌফলদণ্ডি ১৫ হাজার মণ, ভারুয়াখালী ১০ হাজার, খুরুশকুলে ৩ হাজার, পিএমখালী ৪ চার হাজার, ঝিলংজায় ১ হাজার, গোমাতলী ১ হাজার, মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ৪ হাজার, ধলঘাটা ৪ হাজার ৫০০, কালারমারছড়া ২ হাজার, হোয়ানক ২ হাজার, পেকুয়া উপজেলার মগনামা ৫০০, উজানটিয়ায় ১ হাজার ২০০, রাজাখালী ১ হাজার ২০০, চকরিয়ার ডেমুশিয়া ১ হাজার, বদরখালীতে ১ হাজার এবং
টেকনাফের সাবরাং ১ হাজার মণ লবণ মাঠে রয়েছে।
লবণশিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় (বিসিক) কক্সবাজারের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া জানান, জেলায় কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, টেকনাফ, পেকুয়া ও কুতুবদিয়ায় মূলত লবণ উৎপাদন হয়। পাঁচ উপজেলায় অন্তত ২ হাজার ১০০ মেট্রিকটন লবণের আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিমণ লবণের সম্ভাব্য বাজারমূল্য ১৬১ টাকা ধরা হলে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮৫ লাখ টাকা।
ডিজিএম মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, লবণচাষিরা সাধারণত তাদের উৎপাদিত লবণ মৌসুম চলাকালীন পর্যায়ক্রমে মাঠেই গর্তে পলিথিন দিয়ে মজুদ করে রাখে। ফলে জোয়ার বা অন্য কোনো কারণে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলেও মজুদ লবণের ক্ষয়ক্ষতি হয় না।
বিসিকের তথ্য মতে, এ বছর জেলায় লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ২২.১৭ লক্ষ মেট্রিকটন। এ পর্যন্ত সাড়ে ১৬ লাখের মতো উৎপাদন হয়েছে। গত মৌসুমে সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিকটন উদ্বৃত্ত রয়েছে। অবিক্রিত অবস্থায় মাঠে পড়ে আছে প্রায় সোয়া ১০ লাখ মেট্রিক টন। সব মিলিয়ে ৩০ লাখ মেট্রিকটনেরও বেশি লবণ মজুদ আছে। সেই হিসেবে এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ইতোমধ্যে ছাড়িয়েছে।