নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে ভেঙ্গে পড়ল ব্রীজ
রাসেল আহমেদ (ময়মনসিংহ):
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে নির্মাণের এক বছর না পেরোতেই ভেঙ্গে পড়ল ৪২ লাখ টাকার ব্রীজ।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় চরআলগী ইউনিয়নের বোরাখালি গ্রামে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদের উপর নির্মিত ব্রীজ ভেঙ্গে পড়ে।
২০১৮/২০১৯ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে ১৫ মিটার দৈর্ঘের ব্রীজটি উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের নয়াপাড়া-কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার হাজিপুর বাজার সড়কে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদের উপর ব্রীজ নির্মাণ করা হয়।
সুত্র জানায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ব্রীজটি নির্মান কাজের তদারকি করে ব্রীজটি নির্মাণ করেন। নির্ধারিত সময়ের পরে গত এক বছর আগে ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কমপক্ষে ৭/৮ গ্রামের শত শত মানুষকে নৌকায় ছোট নদীটি পারাপার করতে হতো। সরকারি বরাদ্ধে এখানে ব্রীজ নির্মাণ হওয়ার ফলে এলাকাবাসীর অনেক উপকার হয়েছিল। তবে, ব্রীজটি নির্মাণের এক বছর না পেরোতেই ভেঙ্গে পড়ে। আমাদের দাবি ব্রীজটি যেন আবারও নির্মাণ করা হয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ব্রীজটি নির্মাণের সময় নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। ওই সময় লিখিত অভিযোগ করলেও কতৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। নিন্মমানের কাজ হওয়ায় এক বছরের মাথায় ব্রীজটি ভেঙে পড়েছে। জরুরী ভিত্তিতে এখানে ব্রীজটি পুনঃনির্মাণ না করলে তাদের আবার দুর্ভোগে পড়তে হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ আমি ভেঙ্গে পড়া ব্রীজ পরিদর্শন করেছি। ব্রীজটি যখন তৈরী করা হয়েছিল, তখন নদী ছোট ছিল। এ বছর নদী খনন করায় ব্রীজের নিচের মাটি সরে গিয়ে ভেঙ্গে পড়তে পারে। তাছাড়া, আরও অধিকতর তদন্ত করে দেখা হবে। যদি ব্রীজটি নিম্নমাণের সময় নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।