দারিদ্রপ্রবণ ১১২টি উপজেলায় শতভাগ বয়স্ক ভাতার আওতায় আনার প্রস্তাব
চলতি অর্থবছরে সর্বাধিক দারিদ্রপ্রবণ ১১২টি উপজেলায় বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী দরিদ্র প্রবীণ ব্যক্তিকে শতভাগ বয়স্ক ভাতার আওতায় আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে আট লাখ নতুন উপকারভোগী যোগ হবেন।
চলতি অর্থবছরে সর্বাধিক দারিদ্রপ্রবণ ১১২টি উপজেলায় বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী দরিদ্র প্রবীণ ব্যক্তিকে শতভাগ বয়স্ক ভাতার আওতায় আনা হয়েছে। আগামী ২০২১-২০১২ অর্থবছর হতে বয়স্ক ভাতা কার্যক্রমে উপকারভোগীর কাভারেজ বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী প্রাপ্য শতভাগ বয়স্ক মানুষকে অতি উচ্চ ও উচ্চ দারিদ্রভুক্ত গ্রুপের আরও ১৫০টি উপজেলায় সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এতে করে আট লাখ নতুন উপকারভোগী যোগ হবেন এবং এ খাতে ৪৮১ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রদান করা হবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে সর্বাধিক দারিদ্রপ্রবণ ১১২টি উপজেলায় বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাকে শতভাগ ‘বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের জন্য ভাতা কার্যক্রম’-এর আওতায় আনা হয়েছে। আগামী ২০২১-২০২২ অর্থবছর হতে এ কার্যক্রমে উপকারভোগীর কাভারেজ বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী প্রাপ্য শতভাগ বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাকে অতি উচ্চ ও উচ্চ দারিদ্রভুক্ত গ্রুপের আরও ১৫০টি উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হবে। এতে করে চার লাখ ২৫ হাজার জন নতুন উপকারভোগী যোগ হবেন এবং এ খাতে ২৫৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রদান করা হবে।
সর্বশেষ প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ অনুযায়ী, অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা দুই লাখ আট হাজার জন বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে এ বাবদ ২০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন হবে। ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা বলয় খাতে বরাদ্দ ছিল ১৩ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা, যা ২০২০-২০২১ অর্থবছরে প্রায় সাত গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। আগামী ২০২১-২০২২ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মোট এক লাখ সাত হাজার ৬১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি, যা বাজেটের ১৭.৮৩ শতাংশ এবং জিডিপির ৩.১১ শতাংশ।