South east bank ad

ত্রিশাল-ফুলবাড়িয়া সড়ক তিন দফায় মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হয়নি সড়ক সংস্কার কাজ

 প্রকাশ: ১২ জুন ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   জনদুর্ভোগ

এইচ. এম জোবায়ের হোসাইন:

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ত্রিশাল-ফুলবাড়িয়া সংযোগ সড়কের ছয় কিলোমিটার জুড়ে অসংখ্য খানাখন্দ। সড়কটি দেখে মনে হয় এটি সড়কতো নয় যেন গর্তের ভাগাড়। ফলে সাধারন মানুষ ও যানবাহন চলাচলে দেখা দিয়েছে চরম ভোগান্তি। ১২ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনদফা সময় বাড়িয়ে গত তিন বছরেও শেষ হয়নি শুরু হয় ওই সড়কের সংস্কার কাজ।

ত্রিশাল উপজেলার বৈলর মোড় থেকে ফুলবাড়িয়া উপজেলা সদরের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। ওই বিশ কিলোমিটার সড়ক সংষ্কার ও রক্ষানাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)। ত্রিশালের বৈলর মোড় থেকে ফুলবাড়িয়া উপজেলার সীমানা পর্যন্ত সড়কটির সাড়ে ৫ কিলোমিটার পড়েছে ত্রিশাল উপজেলার অংশে। ওই সড়কে ত্রিশাল-ফুলবাড়িয়া দুই উপজেলাবাসির যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও শতশত যানবাহন চলাচল করে ওই সড়ক দিয়ে। তবে দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে সড়কে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হলে ২০১৮ সালে সড়কটি পুনঃনির্মানে টেন্ডার হয়। ১২ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কের পুনঃনির্মাণের কাজটি পান মেসার্স ঢালি কন্সট্রাকশনের সত্বাধিকারি নাসিমুল গনি। ওই বছরের ২৬ জুন থেকে ২০১৯ সালের ১৩ আগস্টের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করার কথা থাকলেও ঠিকাদারের অপারগতায় পর পর তিনদফায় সময় বর্ধিত করা হয়। বর্ধিত সময় শেষ হবে চলতি বছরের আগস্টে। গত তিন বছরেও চলাচলে অনুপযোগি ওই সাড়ে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে ৩ কিলোমিটার পরিমান সড়কের সুরকি ফেলে শুধুমাত্র রোলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ওই দীর্ঘসময়েও সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও এলজিইডি কর্তৃপক্ষের ওপর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় এলাকাবাসি ও ভোক্তভোগি যাত্রীরা।

সরেজমিন ত্রিশাল-ফুলবাড়িয়া সড়কে গিয়ে দেখা যায়, সাড়ে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে ৩ কিলোমিটার সড়কে সুরকি ফেলে শুধুমাত্র রোলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এখনো অনেকস্থানে গাইড ওয়াল নির্মানের বাকি। সুরকি ফেলা হয়নি এমন আড়াই কিলোমিটার সড়কজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দ। হাঁটুসম পানিতে তলিয়ে যাওয়া সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। ওই সড়কে চলাচলকারী দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বিদ্যমান অবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করেন স্থানীয়রা।

সজিব সরকার, ইদ্রিস আলী, হাফিজুল ইসলামসহ স্থানীয়রা বলেন, কাঁদাপানি মেখে চলাচল করছি বছরের পর বছর ধরে। দেখার যেন কেউ নেই। এলজিইডি কর্তৃপক্ষ তৎপর না থাকায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের চরম গাফিলতির কারনেই গত তিন বছরেও শেষ হয়নি ত্রিশাল-ফুলবাড়িয়া সড়কের নির্মাণ কাজ। ভোক্তভোগিদের প্রশ্ন কবে শেষ হবে সড়কের সংস্কার কাজ?
উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, কাজের অগ্রগতির প্রেক্ষিতে বর্ধিত সময়ের মধ্যে ওই সড়কের সংস্কার কাজ শেষ হবে না। তবে অতিরিক্ত অল্প সময়ের মধ্যেই শেষ হবে কাজ।

BBS cable ad

জনদুর্ভোগ এর আরও খবর: