ধোবাউড়ায় নেতাই নদীর বেড়িবাঁধের ৪ স্থানে ভাঙ্গন ৩৬ গ্রাম প্লাবিত
ফয়সাল আহম্মেদ (ধোবাউড়া, ময়মনসিংহ) :
টানা বর্ষণ ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানির চাপে নেতাই নদীর বেড়িবাঁধের মোট ৪ টি স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এর ফলে ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া উপজেলার প্রায় ৩৬ টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলার গামারীতলা ইউনিয়নের সোহাগীপাড়ায় রহমতের বাজার সংলগ্ন ১টি,ঘাটপাড় সাহাবুদ্দীন বিডিআরের বাড়ি সংলগ্ন ১টি,ভল্লভপুর কদ্দুস মেম্বারের বাড়ির সংলগ্ন ১টি, কালিকাবাড়ীর পশ্চিম দিকে ১টি নেতাই নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙ্গার খবর পাওয়া গেছে।
বাধ ভেঙ্গে ৬ টি ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি,পঞ্চন্দপুর,ভল্লবপুর,কাশিপুর,দরিয়াপাড়া,সোহাগীপাড়া,রায়পুর,কামালপুর,চান্দেরনগর, বেতগাছিয়া, বহরভিটা, উদয়পুর, পাতাম, ভালুকাপাড়া,নয়াপাড়া, দিঘলবাগ,রায়কান্দুলিয়া,আঙ্গরকান্দা,মদনপুর,টেগরিয়া,পুটিয়ারকান্দা,চোরেরবিটা,জিরাখালি,গুঙ্গিয়াজুড়ি,আঠাম,কাউয়ারকান্দা,টেংরাপাড়া,কাটালখুছি,ভাতুয়াখুড়ি,রণসিংহপুর,গাগুটিয়ার পাড়,জোকা, পূর্ব শালকোনা,পূর্ব মান্দালিয়া ও পশ্চিম শ্রীপুর গ্রাম সহ ৩৬ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়াও অতিরিক্ত পানির ফলে রাস্তাঘাট, বাড়ির আঙিনা,সবজি ক্ষেত,পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ায় ভেসে গেছে লাখ টাকার মাছ,বিনষ্ট হয়েছে সবজিখেত এতে মৎস্য চাষী ও কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বহু পরিবার।
এ ব্যাপারে গামারীতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান বলেন, প্লাবিত এলাকার বাসিন্দা ও গবাদিপশু নিরাপদে অন্য এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্লাবনের শিকার স্থানীয় মানুষকে সহায়তা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ঘোঁষগাও ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হক বলেন
তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলেও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে ত্রাণসহায়তা করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাফিকুজ্জামান ও উপজেলা চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম জানান,প্লাবিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীর মধ্যে খাদ্য ও ত্রাণসহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। বেড়িবাঁধ সংস্কারের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।