সামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগ এখন আবাসিক রুম, রান্নাঘর ও মোটরসাইকেল গ্যারেজ
এমএ জামান (সাতক্ষীরা):
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (সামেক) দীর্ঘ ৯বছর পর চালু হওয়া জরুরী বিভাগকে দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক রুম, রান্নাঘর ও মোটরসাইকেল গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালটির ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।
গত কয়েকদিনধরে সামেক হাসপাতালে সরেজমিনে অবস্থানকালে দেখা যায়, হাসপাতালটির জরুরী বিভাগের ইমারজেন্সি ওয়ার্ডের ভিতরে নোংরা পরিবেশের মাঝে মোটরসাইকেল পার্কিং করে রাখা এবং মোটরসাইকেলের পূর্বকোণে রান্নার জন্য রাইসকুকার, কারিকুকারসহ নিত্যপণ্য সামগ্রী সাজানো। তার বাম সাইটে নোংরা পরিবেশের মাঝে রয়েছে পানিভর্তি নোংরা প্লেট, রান্নার জন্য তেল, লবণ, আলু, ঝাল, মরিচসহ রান্নার বিভিন্ন উপকরণ। আর একটু নিচে চোখ না ফেরাতেই দেখা যায় নোংরা মেঝের উপরে একটা প্যাকেটের ভিতরে রান্নার চাল। এছাড়াও ইমারজেন্সি এই ওয়ার্ডে রয়েছে রোগীদের সেবা দেওয়ার চারটি বেড। যেটাতে আবাসিক রুমের বেডগুলোর মতোই ব্যবহার করছেন হাসপাতালটির স্টাফরা। বেডের উপরে হাসপাতালটির বিভিন্ন কর্মচারীর নোংরা জামাকাপড় পরিষ্কার করে টানানো। বেডের উপরে রয়েছে ঘুমানোর জন্য একাধিক বালিশ ও কম্বল। ইমারজেন্সি ওয়ার্ড থেকে বের হলেই একই অবস্থা জরুরী বিভাগের বিভিন্ন রুমের সামনে ও ভিতরে। নোংরা পরিবেশের মাঝেই হাসপাতালটির ডাক্তার ও স্টাফদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জরুরী বিভাগের বিভিন্ন রুমের ভিতরে ও বাইরে পার্কিং করে রাখা। তবে হাসপাতালটির স্টাফদের বাঁধার মুখে জরুরী বিভাগের সবরুমে রুমে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের তত্ত্বাবধায়ক ডা: কুদরত ই খুদা জানান, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজকে সম্পূর্ণ রূপে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করায় বন্ধ রয়েছে জরুরী বিভাগের সকল কার্যক্রম। তবে জরুরী বিভাগকে নিজেদের প্রয়োজনে রুম, রান্নাঘর ও গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই। আর এসকল বিষয়ে কোনকিছু জানতেন না জানিয়ে এ প্রতিবেদক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, আমি কালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।