জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে আগ্রহী আরো ৪০ কোম্পানি
জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল নামে পরিচিত বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন আগামীকাল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখানে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে আরো ৪০টি কোম্পানি। এর মধ্যে ৩০টিই জাপানের। বাকি ১০টি অন্যান্য দেশের।
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন। ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বেজা।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক হাজার একর জায়গার ওপর তৈরি করা হয়েছে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল। জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বেজার শেয়ার থাকছে ২৪ শতাংশ, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) ১৫ এবং জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের ৬১ শতাংশ। পুরো অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে সেখানে ১৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হবে। সেখানে এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। অর্থনৈতিক অঞ্চলটিতে বিনিয়োগে এরই মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে সিঙ্গার ও জার্মানির কোম্পানি রুডলফের সঙ্গে। উদ্বোধনী দিনে জাপানের দুটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই হবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলের এমডি তারো কাউয়াচি, অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক সালেহ আহমেদ, বেজার নির্বাহী সদস্য ইরফান শরীফ, আবদুল আজীম চৌধুরী, মো. আলী আহসান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ফারুক ও ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ উজ জামানসহ অন্যরা।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, ‘উদ্বোধনের পর কোম্পানিগুলো কারখানা নির্মাণকাজ শুরু করতে পারবে। আগামী এক বছরের মধ্যে কারখানাগুলোয় উৎপাদন শুরু হবে।’
২০১৬ সালে জাইকা বাংলাদেশে একটি জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ হাতে নেয়। একই বছর জাপান সরকার বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান সুমিতোমো করপোরেশনকে ডেভেলপার হিসেবে নিয়োগ করার সুপারিশ করে। ২০১৮ সালে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষে জাইকা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পক্ষে মত দেয়। পরবর্তী সময়ে যৌথ উদ্যোগে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে ২০১৯ সালে বেজা ও সুমিতমো করপোরেশনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বেজা ২০১৯ সালে প্রস্তাবিত এলাকায় জমি অধিগ্রহণ ও ভূমি উন্নয়নকাজ শুরু করে। জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ৫০০ একর ভূমি উন্নয়ন কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ পর্যন্ত কোম্পানির অনুকূলে ১৮০ একর উন্নত জমি বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোনকে হস্তান্তর করা হয়েছে।