দশ দিনের চিরুনি অভিযান শেষে ডিএনসিসি এলাকায় মোট ৮৮৩টি স্থাপনায় এডিসের লার্ভা; জরিমানা প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু ও মশাবাহিত অন্যান্য রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) দশ দিনব্যাপী বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান (চিরুনি অভিযান) আজ শনিবার শেষ হয়েছে।
চিরুনি অভিযানে মোট ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬৬টি স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শন করা হয়। এর মধ্যে ৮৮৩টি স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। ডিএনসিসির মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল ৩) সর্বোচ্চ সংখ্যক স্থাপনায় (৩৩৫টি) এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক (১৪৫টি) স্থাপনায় এবং কাওরানবাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক (১৩৯টি) স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। চিরুনি অভিযানে মিরপুর ২ (অঞ্চল ২), মিরপুর ১০ (অঞ্চল ৪), হরিরামপুর (অঞ্চল ৬), দক্ষিণখান (অঞ্চল ৭), উত্তরখান (অঞ্চল ৮), ভাটারা (অঞ্চল ৯) ও সাতারকুল (অঞ্চল ১০) এ যথাক্রমে ৬০, ৪০, ৬৮, ৩০, ১১, ৪৯ ও ৬টি স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়।
এডিসের লার্ভা পাওয়া স্থানগুলো হচ্ছে স্যাঁতস্যাঁতে মেঝে, পানির মিটার, ফুলের টব, পানির ট্যাংকি, গ্যারেজ, ভাঙ্গা মগ, রঙের কৌটা, ডাবের খোসা, ফেলে দেওয়া দইয়ের পাত্র, প্লাস্টিকের বাটি, পরিত্যক্ত বাসন, দুই বাড়ির মাঝখানের অংশ, পরিত্যক্ত বালতি, নির্মাণাধীন বাড়ি, পানির চৌবাচ্চা, টায়ার, ডোবা ইত্যাদি। এডিসের লার্ভা পাওয়া স্থাপনাগুলোর সামনে "এই বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছে" লেখা স্টিকার লাগানো হয়।
এছাড়া ৮২ হাজার ৭২টি স্থাপনায় ময়লা-আবর্জনা ও জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। এই স্থাপনাগুলোর ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হয় এবং জমে থাকা পানিতে মশার কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া হয়।
এডিসের লার্ভা পাওয়ায় এবং অন্যান্য অপরাধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এই দশ দিনে মোট ২২ লক্ষ ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এবারের চিরুনি অভিযানে পানি জমে থাকা বিভিন্ন স্থান, জলাশয়, ডোবা, নর্দমায় যুক্তরাজ্য থেকে সদ্য আমদানিকৃত চতুর্থ প্রজন্মের লার্ভিসাইড নোভালিউরন প্রয়োগ করা হয়। এই কীটনাশক যেখানে প্রয়োগ করা হয় সেখানে লার্ভা থেকে পূর্ণাঙ্গ মশা তৈরি হয় না এবং ৯০ দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকে।