এফবিসিসিআই চালু করল টেক সি প্রযুক্তি কেন্দ্র

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা কাজে লাগিয়ে সিএমএসএমই এবং স্টার্টআপের মতো ব্যবসায়িক উদ্যোগের ভিত্তি সুদৃঢ়করণের উদ্দেশ্য নিয়ে ‘এফবিসিসিআই টেক সি’ নামের একটি প্রযুক্তি কেন্দ্র চালু করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)।

টেক সির মূল লক্ষ্য হলো, স্টার্টআপের পরিচর্যা এবং ‘ইমপ্যাক্ট টেক প্রেন্যুয়ার’ তৈরি, যারা ডিজিটাল ইকোসিস্টেসম তৈরি, সাধারণ মানুষের সামাজিক সমস্যার সমাধান, উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। গতকাল মতিঝিলে এফবিসিসিআই আইকন টাওয়ারে এটির উদ্বোধন করা হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন সামনে রেখে এটি চালু করা হয়েছে।

এফবিসিসিআই টেক সির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম। এফবিসিসিআইয়ের উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম ফেরদৌসের (অব.) সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ‘টেক সি’ নিয়ে প্রেজেন্টেশন দেন এফবিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা সোনিয়া বশির কবির।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, এফবিসিসিআইয়ের এ উদ্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে সমন্বয় রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে নিজেকে প্রস্তুত করছে। প্রযুক্তি, সহযোগিতা, বিশ্বায়নের ধারণার মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে নেয়ার জন্য আজকের এ উদ্যোগ দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, অগ্রগামী ও দূরদর্শী চিন্তার জন্য আমি এফবিসিসিআইকে অভিনন্দন জানাই। আরো অভিনন্দন জানাই এফবিসিসিআই টেক সির সফল উদ্বোধনের জন্য। ভিশন-২০২১, ২০৪১ এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ভিশন অর্জনের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি রাজত্ব করলেও গতানুগতিক সংস্কৃতি এবং অর্থনৈতিক খাতে এর ব্যবহার গ্রহণযোগ্যতা এবং ব্যবহার এখনো বেশ ধীর। তবে কভিড-১৯ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে ডিজিটালাইজেশনের বড় ধরনের জোয়ার এসেছে। ফলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থসংক্রান্ত খাতগুলো প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে ডিজিটালাইজেশনের দিকে ঝুঁকে পড়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর অন্টারিও ইনস্টিটিউট ফর স্টাডিজ ইন এডুকেশনের (ওআইএসই) এলিজাবেথ রিজ জনস্টোন, ওআইএসইর কনটিনিউইং অ্যান্ড প্রফেশনাল লার্নিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর (ইন্টারন্যাশনালাইজেশন অ্যান্ড ইনোভেশন) মাইকেল ক্যাসিডি, অ্যাক্সিলারেটিং এশিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা আমরা নাইডু এবং ম্যাসাচুসেট ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) সিনিয়র অফিসার শ্যারন বর্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার। এ সময় এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুনতাকিম আশরাফ, ভাইস প্রেসিডেন্ট রেজাউল করিম রেজনু, মীর নিজাম উদ্দীন, দিলীপ কুমার আগারওয়াল এবং নিজামুদ্দিন রাজেশসহ পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।