South east bank ad

পাবনায় রের্কড তাপদাহ নলকূপে পানি সঙ্কট

 প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   জনদুর্ভোগ

পাবনায় রের্কড তাপদাহ নলকূপে পানি সঙ্কট

রনি ইমরান (পাবনা):

রের্কড তাপমাত্রায় পুড়ছে পাবনার প্রকৃতি। গতকাল বুধবার পাবনায় তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা, এবছরে সর্বোচ্চ। খরতাপ একদিকে যেমন প্রাণীকূল অতিষ্ঠ মানুষ একটু বৃষ্টির আশায় আকাশে চেয়ে আছে তেমনি
তাপদাহে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় নলকূপের পানি উঠছেনা।
পাবনা সদরও অনেক জায়গাতে নলকূপের পানি উঠছেনা, পানি উঠলেও তা একেবারেই কম।
উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌর সভায় অধিকাংশ নলকুপ দিয়ে পানি উঠছে না।
ফলে এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র পানির সংকট। পানির অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে এ এলাকার সাধারণ মানুষ। কোথাও কোথাও গভীর নলকুপেও পাওয়া যাচ্ছেনা পানি। দু এক জায়গা পানি পাওয়া গেলেও তা টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। অস্বাভাবিকভাবে পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ার ফলে অবস্থা প্রকট হওয়ায় এই রমজানে দিশেহারা এলাকাবাসী। পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। তারা ঠিকমত নামাজ রোজা পালন করতে পারছে না।

এ দিকে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর জানিয়েছেন পরিবেশগত নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত পানির স্তর গড়ে ৪০ থেকে ৭০ ফুট গভীরে। বেশিরভাগ এলাকায় এ স্তর পৌঁছালেই পানি পাওয়ার কথা। কিন্তু উপজেলার বেশিরভাগ এলাকায় অস্বাভাবিকভাবে নীচে নেমে গেছে পানির স্তর। প্রতি বছর তীব্র তাদাবদাহে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত এ অবস্থা আরোও প্রকট আকার ধারণ করে।

সরজমিন উপজেলার বিভিন্ন ইউৃনিয়নে ঘুরে দেখা গেছে বেশিরভাগ এলাকায় অগভীর নলকূপে পানি উঠা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। সবচেয়ে কষ্টের সম্মুখিন হয়েছেন উপজেলার পল্লীঅঞ্চলের মানুষেরা। এ উপজেলার প্রতি ১০টি নলকুপের মধ্যে ৮টিই অকেজো হয়েছে। নামাজের ওয়ুর পানি থেকে শুরু করে খাবার পানি, গোসলের ও গৃহস্থলীর কাজের জন্য পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলার পুকুর ও জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে।

উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের মেওয়াপুর ও রসুলপুর গ্রামের মান্নান, শিল্পি,আবু জানান, পানির সংকটে আমরা কোন কাজই ঠিকমত করতে পারছিনা। বিশেষ করে এই রমজানে খুবই কষ্ট হচ্ছে পানির জন্য। দিনেরবেলা পানি সংগ্রহ করে না রাখলে রাতে রোজা রাখতে সমস্যা হয়।

আর আতাইকুলা ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামের রহিম, শামসুর রহমান জানান, পানির অভাবে যাদের সাব-মার্চেবল নলকুপ আছে তাদের ওখানে গিয়ে পানি নিয়ে আসি। অনেক কথা শুনতে হয়। আর কয়বারই বা যাওয়া যায়।

একই গ্রামের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম জানান, পানির অভাবের কারণে আমি মুরগীর বাচ্চা উঠাতে পারছি না। এ দিকে ঈদ এসে যাচ্ছে। আজ ২০/২৫ দিন পানি নাই। মুরগীর ব্যবসার উপরই নির্ভর আমার সংসার।

পাবনা জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহরাজ উদ্দিন বলেন, পানির লেয়ার নীচে নেমে যাওয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তারপর বৃষ্টিও নেই। যারা নিজস্বভাবে নলকুপ স্থাপন করেছে তাদেরই সমস্যা দেখা দিয়েছে। সরকারীভাবে সাব-মার্চেবল নলকুপে তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে না।

BBS cable ad

জনদুর্ভোগ এর আরও খবর: