পদ্মাায় স্পিডবোট দুর্ঘটনা থামছেই না

কায়সার সামির (মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি) :
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে মাদারিপুর-বাংলাবাজার আর শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি রুটে নিময় নীতির অমান্য করে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। অদক্ষ চালক, বোপরোয়া গতি, অতিরিক্ত ভাড়া, নিষিদ্ধ সময়ে পারাপার সব হচ্ছে দেদারছে। এতে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। ঘটছে প্রাণহানী ঘটনাও। আর এতসব অনিয়মের পরও কর্তৃপক্ষ একে অপরের উপর দোষ চাপিয়ে যেন দায়িত্ব মক্তু হচ্ছেন। কিন্ত তার কোনো সুষ্ঠু সমাধান আদৌ হয়নি। হয়নি এই রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার। মানুষের জীবনের যেন কোনো মুল্যই নেই। একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটলেও তদন্ত কমিটিতে আটকে আছে ফল। প্রকাশ পাচ্ছেনা ফলাফল এবং সেই মতো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াতের অন্যতম রুটে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটলেও এর সুনির্দিষ্ট কোনো সমাধানে আসতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
দেশে সর্বাত্মক লকডাউনেও অতিরিক্ত ভাড়া ও গাদাগাদি করে দ্বিগুণ যাত্রী বহন করছে। অবৈধভাবে এ স্পিডবোটগুলো চলাচল করছে বলে জানায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। তবে নৌ পুলিশের দাবি, স্পিডবোট চালানোর জন্য বিআইডবলিউটিএ ঘাটটিকে ৬ কোটি টাকায় লিজ দিয়েছে।
গত সোমবার (৩ মে) কঠোর লকডাউন অমান্য করে স্পিডবোটে যাত্রী পরিবহন করায় নিহত হয়েছেন ২৭ জন। আহত হয়েছেন ৫ জন। এ ঘটনায় গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি। সরকারি নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে পদ্মাায় স্পিডবোট দুর্ঘটনা থামছেই না। এ রুটে বছরের পর বছর ধরে সাড়ে ৪ শত স্পিডবোট চলাচল করছে। যাত্রীদের
জন্য লাইফ জ্যাকেট ও বয়া বাধ্যতামলক থাকলেও এসবের কোন বালাই নেই এখানে। ধারণ ক্ষমতার দিগুণ যাত্রী নিয়ে কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় অহরহ চলছে স্পিডবোটগুলো। সন্ধ্যার পর চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছে না স্পিডবোট চালকরা। স্পিডবোট চালকদের নেই কোনো লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন। এমনকি চালকের নেই কোন প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ।
এই রুটে চলাচলকারী মানুষের জীবন রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের সঠিক নজরদারি কামনা করে প্রত্যেকটি স্পিডবোট রেজিস্ট্রেশন এবং নিয়মতান্ত্রিক চলাচলের ব্যবস্থা করা জরুরি বলে দাবি জানান। তারা মনে করেন, একটি সুশৃংখল নিয়মে স্পিডবোট চলাচল করলে এ ধরনের দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি পাবে সাধারণ যাত্রীগণ।