দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড়

খন্দকার রবিউল ইসলাম (রাজবাড়ী):
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ঘরে ফেরা মানুষের ভিড় বাড়ছে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার অন্যতম প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে।
দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকার কারণে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার,মাইক্রোবাসে করে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে মানুষ আসছে। সেখান থেকে ফেরিতে পদ্মা নদী পার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ফেরিঘাট থেকে অতিরিক্ত ভাড়ায় ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, প্রাইভেটকারে করে রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে।
আজ শুক্রবার(০৭ মে) সকাল সাড়ে ১০ টাই দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে দেখা যায়, পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান নামের একটি রো-রো ফেরিতে ৫শতাধিক যাত্রী দৌলতদিয়া ফেরিঘটে পৌছায়। পাটুরিয়া থেকে ভাষা সৈনিক বরকত নামের একটি রো-রো ফেরিতেও একই যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পৌছায়। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ফেরিতে সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি। মাক্স ব্যবহার করতে দেখা যায়নি অনেক যাত্রীদের।
পাটুরিয়া থেকে আসা এক যাত্রী বলেন, আজ শুক্রবার ছুটির দিন তাই পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে সাতক্ষীরা গ্রামের বাড়ীতে ঈদ করতে যাচ্ছি।
দৌলতদিয়া থেকে প্রাইভেটকারে মাথাপিছু ৭শত টাকা করে ভাড়া দিয়ে সাতক্ষীরা যাচ্ছি। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে সিন্ডিকেট থাকার কারণে গাড়ীতে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে। আইরিন নামে এক যাত্রী বলেন, বেশিরভাগ মানুষ ঈদ উপলক্ষ্যে গ্রামের বাড়ীতে যাবে। তবে দৌলতদিয়া থেকে সব ধরনের যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। এখানে প্রশাসনের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।
অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মাইক্রোবাস চালক বলেন, ফরিদপুর থেকে ঈদের যাত্রী বহন করার জন্য দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আসছি। এখান থেকে প্রভাশালী এক ব্যক্তির সহায়তার গাড়ী লাগনোর সুযোগ পেয়েছি। তাকে এক হাজার টাকা দিতে হয়েছে। যে কারণে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাত্রী বহন করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসির) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. ফিরোজ শেখ বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দিনের বেলায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ৬টি ফেরি চলাচল করছে। রাতে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের জন্য ১৬টি ফেরি চালু রাখা হয়।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, ঘাটের অব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে আপনার কাছ থেকে শুনেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি দেখে গোয়ালান্দ উপজেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করা হবে।