মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

এইচ. এম জোবায়ের হোসাইন:

রোববার ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটের আমতৈল ইউনিয়নে নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ বাবা মোস্তফাকে আটক করেছে হালুয়াঘাট থানা পুলশ।

অভিযুক্ত মোস্তফার চাচা জানায়, গত ৮ বছর আগে মোস্তফার স্ত্রী তার সংসার ছেড়ে চলে যান। কারন তিনি প্রায় সময়ই নেশাগ্রস্ত থাকতেন। এলাকার মানুষের সঙ্গে তার খুব একটা ভালো সম্পর্ক ছিল না। তার সংসারে দুই ছেলে ও একটি ১৫ বছরের মেয়ে রয়েছে। গেল কিছুদিন যাবৎ ওই ব্যক্তি তার মেয়ের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা শুরু করেন। এ বিষয়টি স্থানীয় এলাকাবাসী বিষয়টি আচ করতে পারেননি। আজ সকালে ভিক্টিমের মা আমাকে ধর্ষণের বিষয়টি খুলে বললে আমি তৎখনাৎ চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানাই। চেয়ারম্যানের নির্দেশ মতো আমি তাকে তার ঘরে তালাবদ্ধ করে আটকে রাখি। পরে আমরা গ্রামবাসীরা মিলে পুলিশের হাতে মোস্তফাকে সোপর্দ করি।

ভুক্তভোগী ১৫ বছর বয়সী ওই তরুণী জানালেন, গত মঙ্গলবার দুপুর বেলায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে বাবা আমাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। আর ধর্ষণের এই ঘটনাটি যেন আমি কাউকে না বলি সে জন্য সে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে। শুধু তাই নয় আমি বাড়ি থেকে বের হলেই বাবা আমার ওপর নির্যাতন চলতো। গতকাল শনিবার আমি আমার কাকার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। আর সে জন্য আমার বাবা আমাকে ইচ্ছে মতো মারধর করে। পরে বিষয়টি আমি আমার দাদিকে জানালে দাদি আমার দাদাকে জানায়। আমার দাদা ও এলাকাবাসী এসে বাবাকে ঘরে তালা মেরে আটকে রাখে। আমি আমার বাবার কঠিন বিচার চাই বলে কাঁদতে লাগলেন মেয়েটি।

এ ঘটনার সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক বলেন, রবিবার সকালে আমি স্থানীয় এলাবাসীর কাছে থেকে এই সংবাদটি শুনে ঘটনাস্থলে আমি সেখানে ছুটে যাই। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর আমি পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে লম্পট মোস্তফাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত মেডিক্যাল অফিসার ইসরাত জাহানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুপুরে ভিক্টিমকে নিয়ে পুলিশ হাসপাতালে আসে। আমি প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষা করেছি। ভিক্টিমের হাতে এবং পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে ডিএনএ টেষ্টের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর জন্য আমি পুলিশকে বলেছি।

হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাহমুদুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রবিবার সকালে আমি সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে আমরা অভিযুক্ত আসামি মোস্তফাকে আটক করি। এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।