South east bank ad

টাঙ্গাইলে সবচেয়ে বড় কাঁচা বাজারের রাস্তার বেহাল দশা! দুর্ভোগ চরমে

 প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   জনদুর্ভোগ

মো. আবু জুবায়ের উজ্জল (টাঙ্গাইল):

টাঙ্গাইল শহরের সবচেয়ে বড় বাজার পার্ক বাজার এই বাজারের রাস্তাগুলোর বেহাল দশা। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় ক্রেতা ও বিক্রেতাদের। অপর দিকে একটু বৃষ্টি হলে ভোগান্তি বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ বিষয়টি বাজার কমিটি জনপ্রতিনিধি পৌর মেয়রসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষকেও জানি কোন সুরাহা হয়নি।তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তার গুলো কাজ শুরু করা হবে।

জানাযায় জানান, ১৯৭৭ সালে টাঙ্গাইল পৌরসভা থেকে শহরের ছয়আনি বাজারের উন্নয়ন কাজের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়। তখন ওই বাজারের ব্যবসায়ীদের ভাসানী হলের পাশে টাঙ্গাইল পার্কের তিন একর জায়গায় অস্থায়ীভাবে বসানো হয়। তারপর ছয়আনি বাজারের উন্নয়ন কাজ শেষ হলে সেখানে পুনরায় বাজার চালু হয়। কিন্তু পার্কে অস্থায়ীভাবে আসা ব্যবসায়ীরা আর সরে যায়নি। এ বাজারটি পার্ক বাজার হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

পরে পৌরসভা পার্ক বাজারের ইজারা দেয়া শুরু করে। ১৯৮৯ সালে বাজারটি স্থায়ী বাজার হিসেবে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পায়। বর্তমানে পার্ক বাজারে প্রায় সাত শতাধিক স্থায়ী দোকান এবং আরও ৩০০ অস্থায়ী দোকান রয়েছে। এত বড় এ বাজারটিতে আজও নির্মাণ হয়নি কোনো স্থায়ী শেড।

পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু পরিমাণ কাদা জমে গিয়ে ক্রেতা সাধারণের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। সবসময় কাদায় ভরে থাকে পুরো বাজার। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদার কারণে বাজারের অনেক এলাকাতেই প্রবেশ করা যায় না।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পার্ক বাজারের দক্ষিণ পাশের রাস্তায় পানি জমে রয়েছে। পাকা রাস্তার উপরের সলিং উঠে গিয়ে চার জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কাঁদার কারণে রাস্তা দিয়ে পায়ে হাটা যায় না। অপর দিকে বড় বড় গর্ত থাকায় এই সড়কে কোন রিক্সাও চলতে চায় না। বাজারের দক্ষিণের রাস্তা দিয়ে একেবারেই বাজারের ভিতরে কষ্ট সাধ্য। এছাড়াও বাজারের উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিমের রাস্তা গুলোরও বেহাল দশা।

বাজারে আসা ক্রেতা সোলায়মান,বাবু,মুন্জু,রেজাইল বলেন, গত এক মাস যাবত এই বাজারে এসে খুব কষ্ট করে বাজার করতে হয়। বৃষ্টি হওয়ায় গত চার দিন যাবত ভোগান্তি আরো কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। রাস্তায় কাদা থাকায় শরীরের কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তা গুলোর সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।

লাউহাটি থেকে বাজারে আসা পাইকারী ব্যবসায়ী সুমনএবং চান মিয়া বলেন, এতো বড় কাঁচা বাজারের রাস্তা গুলো এতো নি¤œমানের তা বাজারে না আসলে বোঝা যায় না। বেশ কিছু দিন যাবত আমাদের খুবই দুর্ভোগে বাজার করতে হয়। এদিকে আমরা আসি দুরে থেকে রাস্তা ভাল থাকলে তাড়াতাড়ি বাজার করা যায় । আরার আসি ভাল কাপড় পড়ে যেতে হয় নোংরা করে ।

পিঁয়াজের আড়তদার আবু হানিফ বলেন, ‘কাঁদার কারণে আমাদের দক্ষিণ পাশে কোন ব্যবসায়ী আসতে চায় না। শুধু মাত্র বাকিতে নেওয়া কাস্টমাররা আসে। আমাদের বিক্রি একেবারে কমে গেছে। বিক্রি কম হওয়ায় আমাদের আয়ও কমে গেছে। রাস্তা গুলো সংস্কার করা খুব জরুরী।’

পার্ক বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জোয়াহের আলী বলেন, এই বাজারে এক হাজারের অধিক ব্যবসায়ী রয়েছে। জেলার বাহিরে থেকে শত শত ব্যবসায়ী এই বাজারে আসে। অপর দিকে বাজারের পাশে র‌্যাব অফিস ও খাদ্য গুদাম। এতো গুরত্বপূর্ণ এলাকার রাস্তা সংস্কারের জন্য মেয়র ডিসিসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে ঘুরেছি। কিন্তু কোন লাভই হয়নি। কই গেলে এই বাজারের রাস্তা গুলো সংস্কার হবে তাও জানি না। দুর্ভোগই আমাদের ব্যবসায়ীদের নিত্তদিনের সঙ্গী।

এবিষয় টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস.এম সিরাজুল হক আলমগীর জানান সাবেক মেয়রের সময় বাজারের রাস্তার টেন্ডার হয়েছে। কাজ শুরু না করায় আমরা নতুনে কাজটি শুরু করার পরিকল্পনাও করেছিলাম। কিন্তু কাউন্সিলরের অকাল মৃত্যুতে তা সম্ভব হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কার করা হবে।

BBS cable ad

জনদুর্ভোগ এর আরও খবর: