শিরোনাম

South east bank ad

গাজীপুরে জোড়া খুনের রহস্য উদ্ঘাটন, মুল আসামী গ্রেপ্তার

 প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   থানার কথা

মেহেদী হাসান সোহেল (গাজীপুর):

গাজীপুর নগরীর কোনাবাড়ী বিলের পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় ০২ জনের মরদেহ উদ্ধারের ৪ দিন পর রহস্য উদাঘটন করেছে পুলিশ। তাদের দুই জনের পরিচয় নিশ্চিতসহ হত্যাকান্ডের মুল্ আসামীসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল জিএমপি সম্মেলন কক্ষে প্রেসব্রিফিং এ তথ্য জানান, জিএমপি’র উপ-কমিশনার জাকির হাসান।

নিহত মাহমুদুল হাসান (২০), রংপুরের মিঠাপুর থানার চাঁদপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে এবং মোঃ রাকিব হোসেন (১৮), নীলফামারীর ডিমলা থানার সাতনাই কলোনী এলাকার আলম মিয়া। উভয়ে জিএমপি কোনাবাড়ি থানাধীন আমবাগ শাহানা বেকারীর কর্মচারী।

গ্রেপ্তার রাসেল প্রধান(২৫) গাইবান্ধার জেলার গোবিন্ধগঞ্জের কিসমত দুর্গাপুর মধ্যপাড়া এলাকার মুনসুর আলীর ছেলে এবং নগরীর কোনাবাড়ি থানাধীন আমবাগ শাহানা বেকারীর কর্মচারী। আর মোঃ শৈকত সরকার (২৪) বগুড়ার ধুনট থানার শেলমারী এলাকার সাইদুল সরকারের ছেলে। সে কালিয়াকৈরের ডাইনকিনি এলাকার খোকন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।

জিএমপি’র উপ-কমিশনার জাকির হাসান জানান, জিএমপি কোনাবাড়ি থানাধীন আমবাগ শাহানা বেকারীতে কাজ করার সুবাদে মাহমুল হাসান, রাসেল প্রধান এবং রাকিব হোসেনের সাথে বন্ধত্ব সম্পর্ক তৈরি হয়। কিছুদিন আগে মাহমুদুল হাসানের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা ধার নেয় রাসেল প্রধান। সেই পাওনা টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে ক্ষিপ্ত হয় রাসেল প্রধান। পুলিশ জানায়, ৩ জুলাই তিন বন্ধু আমবাগ পুর্বপাড়া এলাকায় বেড়াতে যায়। সেখানে যাদু দেখানোর কথা বলে রাসেল প্রধান কৌশলে মাহমুদুল হাসান ও রাকিব হোসেনের হাত-পা বেধে ফেলে। পরে মাহমুদুল হাসানকে পাশের বিলের পানিতে চুবিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে রাসেল প্রধান। রাকিব এবিষয় অন্যদের বলে দেয়ার কথা বললে তাকেও একটি সীমানা পিলার দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে । পড়ে দুইজনকে পানিতে ফেলে কচুরিরপানা দিয়ে ডেকে রেখে পালিয়ে যায় রাসেল প্রধান। স্থানীয়রা মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে মরদেহ দেখতে পেয়ে ৭ জুলাই রাতে পুলিশ খবর দেয়। পুলিশ ওই দিন রাতে অজ্ঞাত পরিচয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় ।

এঘটনায় জিএমপি কোনাবাড়ি থানার উপ-পরিদর্শক তাপস কুমার ওঝা বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মাহমুদুল হাসানের একটি মোবাইল ফোন রাসেল প্রধান কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকায় হোটেল কর্মচারী মোঃ শৈকত সরকারের কাছে বিক্রি করে চলে যায়।
পুলিশ ওই মোবাইলের সুত্র ধরে ১০ জুলাই রাতে মোঃ শৈকত সরকারকে গ্রেপ্তার করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গাইবান্ধা থেকে রাসেল প্রধানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাসেল প্রধানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মরদেহ দুটি পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশ। এ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।

BBS cable ad

থানার কথা এর আরও খবর: